ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ই আশ্বিন ১৪৩০

ড্রেন-জলাশয়ে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধে দুই মাস সময় দিল ডিএনসিসি


প্রকাশিত:
৩১ মার্চ ২০২১ ২১:১১

আপডেট:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৫

সেপটিক ট্যাংক না বানিয়ে যারা বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পয়ঃবর্জ্য সরাসরি বৃষ্টির পানি সরানোর ড্রেন, খাল, লেক বা অন্যান্য জলাশয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের তা শুধরে নিতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

দিনে ঢাকার ‘সাড়ে ১১ লাখ ঘনমিটার’ পয়ঃবর্জ্য যাচ্ছে নদীতে

রোববার এ বিষয়ে একটি নোটিস জারি করে উত্তর সিটি করপোরেশন বলেছে, ওই সময়ের মধ্যে তা না করলে ‘আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।

সেখানে বলা হয়, সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনায় সরকারি বিধি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপন করার কথা।

“তারপরও অনেক বাসাবাড়ি ও স্থাপনার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন সরাসরি ডিএনসিসির বিভিন্ন স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন, খাল, লেক ও জলাশয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এবং স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”


৩১ মার্চের মধ্যে সব বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনার অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন লাইন নিজ উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন করে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপন করার জন্য ঢাকা উত্তরের বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে নোটিসে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন ঢাকায় ১৫ লাখ ঘনমিটার পয়ঃবর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ২০ শতাংশ রয়ে যায় উৎসে। আর মাত্র সাড়ে ৪০ হাজার ঘনমিটার যায় পাগলা পয়ঃশোধনাগারে। বাকি ১১ লাখ ৬০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় নিঃসরিত হয়ে নদীতে যাচ্ছে।

এভাবে নদী দূষণ বন্ধ না হলে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ওয়াসার পক্ষে ঢাকায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ সম্ভব হবে না বলে মত দেওয়া হয় ওই প্রতিবেদনে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top