ঢাকা শুক্রবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৪, ২৫শে কার্তিক ১৪৩১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২০ ০২:৫০

আপডেট:
১৫ জুলাই ২০২০ ০২:৫৯

ছবি: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগৃহীত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিদপ্তরের কোনো সমস্যা চলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। খবর ইউএনবির

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে মন্ত্রণালয় প্রশাসনিকভাবে কোনো কাজের ব্যাখ্যা চাইতেই পারে, এটি সরকারি কাজের একটি অংশ।’

সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে কোভিড-১৯ পরীক্ষার চুক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে শোকজ করেছে মন্ত্রণালয়। রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথকেয়ার নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল সার্টিফিকেট প্রদান করতো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় দুটিই সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ মোকাবিলায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এটি সরকারের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের একটি অংশ মাত্র। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সমস্যার কোনো ব্যাপার এটি নয়।’

তিনি বলেন, জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কতটুকু হয়েছে তা সরকার খতিয়ে দেখছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কঠোর বিচার করতে হবে এবং তাদেরকে প্রশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মিডিয়া কর্মীদের সাথে কথোপকথন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সাথে আলাদা বৈঠক করেন। মন্ত্রী বৈঠকে সচিবদের দেশের সকল ক্লিনিক ও হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কি-না সে ব্যাপারে তৎপর থাকার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি, কোনো ক্লিনিক ও হাসপাতালে অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড হলে দ্রুততার সাথে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার ঘটনায় হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আট কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। হাসপাতালের এমডি মো. সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে থানায়। এই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

মামলায় সাতজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রতারণার ঘটনায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করবে ডিবি।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top