মাওনা চৌরাস্তায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ
পরিবেশ টিভি: মাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। কয়েকটি বড় বিপণিবিতান, প্রায় অর্ধশতাধিক হাসপাতাল ও বিদ্যালয়, ছোট-বড় মিলিয়ে হাজারখানেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৩০টির মতো ব্যাংকের শাখা ও কয়েকটি বীমা কোম্পানির অফিস রয়েছে এখানে। অথচ উপজেলা শহরটিতে জলবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজতর যোগাযোগের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য প্রতিদিনই লক্ষাধিক লোকের পদচারণায় মুখর থাকে মাওনা চৌরাস্তা। বিভিন্ন বাসাবাড়ি, খাবার হোটেলসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানি ও মানব বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা মহাসড়কের পাশে ড্রেনে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এতে বছর জুড়েই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন। ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী হয়ে গেছে। এই পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থলে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরাম জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য ও পানি দূষিত হয়ে থাকে তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না, যেহেতু জলাবদ্ধতাটি বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সবাইকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে পানি সরিয়ে নিতে নতুন একটি ড্রেন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, নতুন ড্রেনের নির্মাণকাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ লাঘব হবে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: