ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

তাড়াশে আবাদি জমিতে পুকুর কাটার হিড়িক


প্রকাশিত:
১৩ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৫৯

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ টিভি: চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা জুড়ে আবাদি জমিতে পুকুর কাটার হিড়িক পড়েছে। এতে ফসলি জমি কমার পাশাপাশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আশপাশের কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলায় কয়েক বছর ধরে শত শত বিঘা আবাদি ও ফসলি জমি কেটে যত্রতত্র পুকুর কাটা হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অনেক কৃষক সঠিক সময়ে সরিষা, ভুট্টা, গম ও ধান চাষ করতে পারছেন না। আবার সামান্য বৃষ্টিতে পানি বের হতে না পারায় আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া, বোয়ালিয়া কাউরাইল, খুটিগাছা, নওগাঁ ইউপির ভায়াট, খালখুলা, চৌপাকিয়া, বানিয়াবহু, মহিষলুটি, বিরৌহালী, পংরৌহালী, কালুপাড়া, সাস্তান, শ্রীকৃঞ্চপুর, মাধাইনগর ইউনিয়ন ও সগুনা ইউনিয়নে এস্কাভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে শত শত বিঘা আবাদি জমি কেটে পুকুর খননের কাজ চলছে। প্রভাবশালী ও অবৈধ মুনাফালোভীরা স্থানীয় প্রশাসনকে হাত করে হরদম পুকুর খনন করছে।

কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, অসাধু ব্যক্তিরা বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে জমি মালিকদের ভূমির শ্রেণির পরিবর্তন না করেই আবাদি জমিতে পুকুর কাটতে উৎসাহিত করছেন। একদিকে যেমন কৃষিজমি কাটার ফলে দেশের খাদ্যর চাহিদার ঘাটতি পড়ছে তেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, গত পাঁচ বছরে এ উপজেলায় ২৪০০ বিঘা আবাদি জমি কমে গিয়েছে। কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত পুকুর কাটা বন্ধ করতে হবে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। যখনই কোনো অভিযোগ পাই তখনই অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top