ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

কাপাসিয়ায় বানার নদীতে বর্জ্য : দূষিত হচ্ছে পানি


প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০২০ ০১:২৩

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৯

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: কাপাসিয়া বাজারের মুরগির বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে বানার নদীর পানিতে। মুরগির দোকানগুলো থেকে ড্রেন দিয়ে নদীর পানির সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে ড্রেনের মুখের খেয়াঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে বর্জ্যরে স্ত‚প। বর্জ্যরে স্ত‚পের গন্ধে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাপাসিয়া সদর বাজারের ৮-১০টি মুরগির দোকান থেকে প্রতিদিন বানার নদীতে মুরগির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর পানি ও পরিবেশ দূষিত হলেও বাজার কমিটি সম্পূর্ণ নির্বিকার। নদীতে স্রোত না থাকায় ময়লা জমে স্ত‚পে পরিণত হয়েছে। পানি কালো রঙ ধারণ করেছে। ভাসছে মুরগির পালক। স্রোতবিহীন নদীর পানিতে মুরগির বর্জ্য ফেলার কারণে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানির সংস্পর্শে মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা রকমের চর্মরোগ।

ড্রেনের মুখ খেয়াঘাট এলাকায় হওয়ায় হাতের নাক চেপে যাতায়াত করছে পথচারীরা। নদী সংলগ্ন তরগাঁও গ্রামের হেলেনা বেগম বলেন, নদীতে আমরা অনেক গোসল করেছি। হাঁড়ি-পাতিল ও থালা-বাসন ধুয়েছি। এখন নদীতে গোসল তো দূরের কথা দুর্গন্ধের কারণে কাছেও যাওয়া যাচ্ছে না।

খেয়াঘাটে কথা হয় পথচারী রাকিব, মাসুম ও মিথিলার সঙ্গে। তারা সবাই কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তারা বলেন, নাক ঢেকে আর কত পথ চলা যায়? বাধ্য হয়ে এ পথ দিয়ে চলেন তারা। এ খেয়াঘাট হয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে, এখানে কেন ময়লার ড্রেন প্রশ্ন তাদের। খেয়াঘাটের মাঝি রেয়াজ উদ্দিন বলেন, সবাই মিলে চাঁদা তুলে ময়লা পরিষ্কার করেছি। গন্ধ তীব্র হওয়ায় প্রতিদিন ২০-২৫টি ব্লিসিং পাউডার দিয়েছি। এখন আমি, কাজল, মজিবুর নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করছি। এ ব্যাপারে বাজার কমিটি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বদু বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. ইসমত আরা বলেন, ড্রেনের মাধ্যমে সরাসরি নদীতে মুরগির বর্জ্য ফেলা হলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top