ঢাকা শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪, ২১শে আষাঢ় ১৪৩১

সময় বাড়লো ঢাকার চার নদীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের


প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২৪ ১৯:১৯

আপডেট:
৫ জুলাই ২০২৪ ০১:৫৭

রাজধানীর চারপাশে নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করে জুন ২০২৫ নাগাদ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ নাগাদ। এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল যখন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তিনটি ইকোপার্ক ও ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের নির্মাণকাজ। ঢাকার চার নদীর (বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী) দুই পাড়ের ২২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাড়ে ৭ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিলার। এছাড়া ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ২৫ কিলোমিটার, যা ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটনবান্ধব। 

এটাসহ ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-কৃষি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে বরগুনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট (এসি) পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট-এর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রকল্প; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন প্রকল্প; মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কুমিল্লা-সালদা-কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top