ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ না থাকলেও বাড়ছেই ইলিশের দাম


প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৭

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ০২:১৭

জাতীয় মাছ ইলিশ উৎপাদনের জন্য কিনতে হয় না পোনা। নেই মাছের খাবার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়লেও প্রতিবছর হুহু করে বাড়ছে ইলিশের দাম। আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের দাবি, ইলিশ শিকারে বেড়েছে খরচ। তবে মৎস্য গবেষক ও ক্যাব বলছে, আড়ৎদারদের সিন্ডিকেট বাড়াচ্ছে ইলিশের দাম।

প্রতিবছরই লাগামহীনভাবে বাড়ছে রুপালি এই মাছের দাম। মোকাম থেকে রাজধানীর বাজারে আসতে আসতে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে দেড় হাজার টাকার ওপরে।

রাজধানীর কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেড় হাজার টাকার নিচে কোনো ইলিশ মিলছে না। দোকানদারেরা বলছেন, তাঁদের বেশি দামে কিনে আনতে হয় বলেও বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরের মোকাম মালিকেরা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় সাগর ও নদীতে ইলিশ কম মিলছে। বেড়েছে মাছ ধরার খরচ। এ কারণেই বাড়ছে ইলিশের দাম।

তাঁদের মতে, আগে ২০ থেকে ৩০ মণ আমদানি হতো। এখন ২ মণ মাছ আমদানি হয় না। সিন্ডিকেটের কারণে মাছের সময়েও যে দাম থাকছে, মাছ যখন পাওয়া যায় না তখনও একই দাম থাকছে।

তবে মৎস্য গবেষক ও ক্যাব বলছে, একই সময়ে সাগরে ইলিশের পাশাপাশি, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোরালসহ সামুদ্রিক মাছ শিকার করা হয়। অথচ এসব মাছের দাম ইলিশের চেয়ে কম। মূলত, আড়ত থেকেই ইলিশের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর পেছনে দায়ী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব ও সংঘবদ্ধভাবে ব্যবসায়ীদের মূল্য নির্ধারণের একটা প্রভাব ক্রেতাদের ওপর পড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিয়ামুল নাসের বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও দেশের জনসংখ্যা হিসেবে তেমন বাড়েনি। তার জন্য দামও তেমন কমছে না।

গবেষকরা বলছেন, মাত্র দেড় দশকে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। ২০০২-০৩ অর্থবছরে যেখানে ১ লাখ ৯১ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হতো, সেখানে এ বছর উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়াতে পারে।

বিশ্বের মোট ইলিশের উৎপাদনের ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশে। এছাড়া ভারত, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে স্বাদের জন্য বাংলাদেশের ইলিশের কদর দুনিয়া জোড়া।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top