গোপালগঞ্জে বিনা তিলের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে গোপালগঞ্জের তিল ক্ষেতে পানি জমে যায়। এতে স্থানীয় জাতের তিল গাছ মারা গেছে। অনেক তিলগাছ বাতাসে ক্ষেতে পড়ে গিয়েছে। তবে বিনা তিল-২ এখনো ক্ষেতে দাঁড়িয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতের পরও বিনাতিল-২ ভালো ফল দেবে বলে কৃষকরা আশা ব্যক্ত করছেন।
বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত ওষুধি গুণসম্পন্ন বিনাতিল-২ চাষ করে কৃষক প্রতি হেক্টরে ১ হাজার ৭ শ’ কেজি ফলন পাবেন। গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের কর্মকর্তারও এমন প্রত্যাশা করছেন। বপনের ৯০ দিনের মাথায় কৃষক ক্ষেত থেকে তিল ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেন। তিল চাষ করে কৃষক পাটের তুলনায় দ্বিগুন টাকা আয় করতে পারেন।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ও ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। পাট চাষের সময় বৃষ্টিপাত হয় না। তাই কৃষক পাটের পরিবর্তে বিনাতিল-২ চাষ করতে পারেন। এতে লাভ বেশি।
বিনার মহা-পরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিবছর ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। তাই সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কাজ করছি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: