ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


খাওয়ার পানির সংকটে বারমুডার জনগণ


প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১১

আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১৩

খাওয়ার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখে বারমুডার জনগণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৈনন্দিন কাজে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে ৫৩ বর্গকিমি জুড়ে এই দ্বীপে অনেক দিন ধরে খাওয়ার পানির সংকট।

মিঠা পানির ঝর্ণা, নদী বা হ্রদ না থাকায় খাওয়ার পানির সমস্যায় হয় সেখানে। বাড়ি স্থাপত্য বা ছাদগুলো দেখার মত। যদিও এই বিশেষত্বের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে নানা কারণ। এই দ্বীপেটিকে দূর থেকে মনে হবে, সাজানো রয়েছে সাদা রংয়ের চুনাপাথরের ছাদ। নতুন এবং পুরনো সব বাড়িগুলো প্রায় একই দেখতে।

বাড়িগুলোর এমন অভিনব নির্মাণ কৌশলের পিছনে রয়েছে পানি সঙ্কট মেটানোর প্রচেষ্টা। কারণ এই দ্বীপের মানুষরা বৃষ্টির পানি সঞ্চয় করে তা সারা বছর খাওয়ার পানি হিসেবে ব্যবহার করে। যদিও তার আগেই পানি পরিশ্রুত করে নেন। তারা প্রত্যেকে মেনে চলেন পানি অপচয় না করার নীতি এবং শিশুদের ছোট থেকে সেভাবেই শিক্ষা দেন।

১৭ শতক থেকেই স্পষ্ট করে আইন করে এখানে বলে দেওয়া হয়, বাড়ির ছাদ কেমন হবে। আইন অনুযায়ী, বাড়ির ছাদ এমন হবে যার ফলে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ জলাধারে অনায়াসে সঞ্চিত হতে পারবে। প্রত্যেকের বাড়ির নিচে ১০০ গ্যালনের জলাধার থাকা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক বাড়ির ছাদ হবে খাঁজকাটা ঢালু নকশার। ফলে সহজেই নিচে পানি গড়িয়ে পড়তে পারবে।

২০ শতকে এখানে পর্যটন শিল্প ফুলে ফেঁপে উঠলে দ্বীপে পানি সংকট দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য সরকারি তরফ থেকে প্রথম বসানো হয় ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট। এর মাধ্যমে সমুদ্রের জল অতি সহজেই পরিশ্রুত করে খাওয়ার পানিতে পরিণত করা যায়। কিন্তু বারমুডাবাসী এক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য নিতে চায় না। কারণ তারা বদ্ধপরিকর পানি সঞ্চয় কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখাবে।

২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী , এই দ্বীপে বসবাস করে প্রায় ৬৪০০০ মানুষ। কিন্তু এখানে স্থায়ী বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা দেখলে মনে হবে না যে তারা পানিসঙ্কটে রয়েছে। প্রত্যেকে বৃষ্টির পানি সঞ্চয় করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে এবং তার ফলে তাদের জীবন ভালো ভাবে কেটে যায়।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top