ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১

দখল-বেদখলে বিপর্যস্ত বনভূমি, উদ্ধারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই : মানবাধিকার কমিশন


প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৯

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫১

সারা দেশে বনের জমির ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ দশমিক ৮৪ একর বেদখল হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বনের জমি। এ সব জমি উদ্ধারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। সংরক্ষিত বনভূমির দখলদার চিহ্নিত হয়েছে ৮৮ হাজার ২১৫ জন। প্রভাবশালীদের নাম থাকায় বনের জমি উদ্ধার হয় না। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বনভূমি চরমভাবে হুমকির মুখে। সেখানে বন বিভাগও অবৈধ দখলদার ও বনখেকোদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা-মোকদ্দমা করে দায় শেষ করছে তারা। আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার ফলে বনের জমি দখল ও গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে।

১৫ জুলাই, সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক থিমেটিক কমিটির সভার আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১৪টি আলোচ্যসূচির ওপর আলোচনা হয়। সভায় কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, পিকেএসএফ-এর পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহেমেদ, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে নির্বাহী মোহাম্মদ সামসুদ্দোহাসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও বরেন্দ্র অঞ্চলে তীব্র পানি সংকট, উপকূল অঞ্চলে লোনা পানির প্রবেশ, রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতাসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট সংকটের কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ সব সংকট দূর করতে ভূপৃষ্ঠের পানির জলাধার খননের পাশাপাশি নদী, বিল এবং পুকুর পুনঃখননে উদ্যোগ নিতে হবে। শহরাঞ্চলের দখলকৃত সকল জলাধার, খাল উচ্ছেদপূর্বক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

সভায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর কমিশনের থিমেটিক কমিটির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কনফারেন্স অব পার্টিজ-২৯ (কপ-২৯) এর প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয়। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে ধনী দেশগুলো টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাতে বাধ্যবাধকতা আরোপের জন্য একটি ইন্টারন্যাশনাল ‘এইড ল’ থাকার বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top