ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


বন্যা ভয়াবহ: বিচ্ছিন্ন সিলেট


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২২ ২২:৪৩

আপডেট:
১৮ জুন ২০২২ ২২:৪৪

বন্যা কবলিত সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

টানা ভারী বর্ষণ আর অব্যাহত পাহাড়ী ঢলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে গেছে সিলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে, বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র, রাস্তা-ঘাট। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জেরে বেশিরভাগ এলাকা।

শনিবার ১৮ জুন সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে সিলেট শহর, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, সদর উপজেলা এবং আশপাশের অনেক জায়গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

বন্যার পানির নিচে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে

শুক্রবার ১৭ জুন, দুপুরের পর থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করতে শুরু করে বন্যার পানি। ঘন্টা খানেকের মধ্যে তলিয়ে যায় রানওয়ে। ফলে এ দিন বিকাল ৪ থেকে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সিলেটের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিমান যোগাযোগ।

স্মরণকালের বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক। সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ।

কয়েক ফুট পানির নিচে সিলেট মহানগরী

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় পৌনে দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানি ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে গ্রিড উপকেন্দ্র। অব্যাহত বৃষ্টিতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র। ফলে যে কোনো সময় এ উপকেন্দ্র বন্ধ হলে বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেটের। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং স্থাপনার দুর্ঘটনা এড়াতে সবধরণের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় তলিয়ে গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বর্তমানে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে কোমর পানি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ছাত্রী হলে পানি উঠেছে বৃহস্পতিবার থেকেই। শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস। নিরাপদ পানির সংকটে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। জরুরী এক সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এর আগে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার কারণে হল ছাড়তে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার ১৭ জুন, দুপুর থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ শুরু বিজিবি সদস্যরা।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। তাই বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ আশংকা রয়েছে।

পিটিভি/জুআসা/২০২২




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top