ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


পাটগ্রামে ধরলা নদীর বুক জুড়ে ধান চাষাবাদ, হচ্ছে দখল দূষণ


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৫৯

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৮

পানি না থাকায় পাটগ্রাম নদীগুলোর বুক জুড়ে চলছে ইরি-বোরো ধানের চাষ। আর নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠছে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা।

পাটগ্রাম উপজেলা হয়ে বয়ে চলা নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিস্তা, সানিয়াজান, ধরলা, শিংগীমারী, শংলী ও চেনাকাটা নদী। নদীগুলোতে প্রয়োজনীয় পানি প্রবাহ না থাকায় নদী অংশের এক-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে বালু আর চর পড়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বালু কেটে সরিয়ে সমান্তরাল করে চলছে ধান ও ভুট্টার চাষাবাদ। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী এলাকা ভরাট করে চলছে দখল। দহগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে তিস্তা ও সানিয়াজান, বাউরা ইউনিয়ন হয়ে সানিয়াজান, বুড়িমারী, শ্রীরামপুর, জোংড়া ইউনিয়ন ও পাটগ্রাম পৌরসভা হয়ে ধরলা নদী, জগতবেড় ইউনিয়ন হয়ে চেনাকাটা নদী এবং কুচলিবাড়ী, পাটগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে বয়ে চলেছে শংলী ও শিংগীমারী নদী। নাব্য হারিয়ে এসব নদীর অবস্থা বর্তমানে মরা খাল বা একেকটি নালা। খরস্রোতা এক সময়ের এসব নদীর বুক জুড়ে চলছে ইরি-বোরো ধানের চাষ।

 

সরেজমিনে নদী-তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীর অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি। ক্রমেই দখল অব্যাহত রয়েছে। পানি প্রবাহের জায়গা ভরাট করে বিক্রি চলছে হরহামেশা। এমনকি কোথাও কোথাও নদীর কাছে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়ে দখলে নেওয়া হয়েছে। নদী অংশ ভরাট আর দখলে নেওয়ায় প্রাকৃতিক দূষণ বেড়েছে।

সচেতন মহলের মতে, উপজেলার নদীগুলোর নাব্য সংকট, ভরাট ও দখল হওয়ায় জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। পাশাপাশি জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবের প্রকৃতি ভয়ংকর রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

 

জেলা পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পানি না থাকায় লোকজন যদি সাময়িকভাবে কৃষি কাজ করে এবং নদীর যদি ক্ষতি না হয় তা হলে খারাপ কিছু না। কোথাও দখল ও দূষণ হয়ে থাকলে সরেজমিনে দেখে তালিকা করে পরবর্তী সময়ে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জেলা পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, নদী যারা অবৈধভাবে দখল করেছে এ ধরনের ১১৩টি উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সম্প্রতিও অনেক জায়গায় যারা বাঁধ বা নদীর তীর দখল করে আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নতুন তথ্য পেলে ব্যবস্হা নেব।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top