ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৪৬

আপডেট:
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৪৭

 

জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের খাল ও নালানর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। আজ শনিবার সকালে নগরের পূর্ব ষোলশহর ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডে এ কাজ শুরু হয়। করপোরেশনের যান্ত্রিক শাখার সহায়তায় পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এই কার্যক্রম তদারকি করছে।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক প্রথম আলোকে বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জনবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে খাল ও নালা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই কাজের প্রথম দিন পূর্ব ষোলশহরের ওমর আলী মাতব্বর সড়কসংলগ্ন বীর্জা খাল ও বহদ্দারহাটের ডোম খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ কাজ চলমান থাকবে।


সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নগরে ৫৭টি খাল থাকলেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কাজ করছে মাত্র ৩৬টিতে। এর বাইরেও অনেক নালা তাদের কাজের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। এসব পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন না করায় নগরীতে বারবার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে সৃষ্ট দুর্ভোগের জন্য নগরবাসী সিটি করপোরেশনকে দায়ী করে আসছে। এ অবস্থায় সিডিএর প্রকল্পের বাইরে থাকা খাল ও নালাগুলো পরিষ্কারের জন্য মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন।

চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কারণে সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরে বড় নালা ও খালগুলোতে বর্জ্য ও কাদা অপসারণের কাজ বন্ধ রেখেছিল। সিডিএর প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য নগরবাসী সিডিএর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের গাফিলতিকে দায়ী করে আসছিল।

সূত্র আরও জানায়, সিডিএর প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকা খাল ও নালাগুলো সম্প্রতি পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা খাল ও নালাগুলোর একটি তালিকা করেছেন। তালিকা অনুযায়ী খাল ও নালানর্দমার ৫৯৮টি অংশ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা।

২০১৭ সালের আগস্টে সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরবর্তী বছরের এপ্রিলে প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়, যা এখনো চলমান। প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকেই সিটি করপোরেশন নগরের খাল ও বড় নালা থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ বন্ধ রাখে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top