ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


টাঙ্গাইলের যমুনার চরে বালু বিক্রির মহোৎসব


প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২১ ২১:৪৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৮

 যমুনার চরে বালু বিক্রির মহোৎসব

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চর ও ফসলি জমিতে চলছে বালু তোলা ও বিক্রির মহোৎসব। প্রভাবশালী বালুখেকোদের দাপটে বারবার অভিযান চালিয়েও বালু তোলা বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন। এছাড়া দিন-রাত অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে স্থানীয়দের বসতভিটা ও কৃষিজমি।


ভুক্তভোগীরা জানান, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন। তাদের নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যানের ভাই খোকা। এক যুগের বেশি সময় ধরে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু তুলছেন তিনি। চেয়ারম্যানের ভাই হওয়ায় ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলতে পারে না।
তারা আরো জানান, বালু তোলা নিয়ে বেশি সমালোচনা হলে প্রশাসন ঝটিকা অভিযান চালায়। কিন্তু এতে দমানো যায় না খোকাসহ সিন্ডিকেটের অন্য বালু খেকোদের। খোকার দাপটে এলাকার অন্য বালু ব্যবসায়ীরা নীরব হয়ে গেছে আগেই। এতে দিনদিন প্রভাব বেড়েছে তার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর-জিগাতলা এলাকায় যমুনা নদীর অংশে জেগে উঠা চর কেটে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চলছে দেদারসে। ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু তুলে রীতিমতো গড়ে তোলা হচ্ছে বালুর পাহাড়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া, সিরাজকান্দী-নেংড়া বাজার, মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়াসহ ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েটে চলছে বেপরোয়া বালু বিক্রি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নম্বরবিহীন অবৈধ বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে গ্রামের সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধুলোবালিতে চারপাশ সবসময় অন্ধকার হয়ে থাকে। মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছ ও ফসল।

ভূঞাপুরের ইউএনও ইশরাত জাহান বলেন, যমুনা নদীর চর ও ফসলি জমি কেটে বালু তোলার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু তোলা ও ব্যবসা চলতে দেয়া হবে না।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top