ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ছেঁড়াদ্বীপে যত্রতত্র আবর্জনা


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২১ ২৩:৪৩

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫১

ছেঁড়াদ্বীপে যত্রতত্র আবর্জনা

 

সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে যত্রতত্র ময়লা ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে দ্বীপের বেশ কয়েকটি অংশে আবর্জনার স্তূপ হয়ে গেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে পর্যটনের পরিবেশ এবং দিন দিন কমে যাচ্ছে দ্বীপের সৌন্দর্য।

সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, প্রতিদিন অন্তত হাজারেরও বেশি পর্যটক ছেঁড়াদ্বীপে ভ্রমণে আসেন। ছেঁড়াদ্বীপে ৩০/৩৫টি ছোট ছোট দোকান রয়েছে। এসব দোকানে ডাব, কোমল পানীয়, তরমুজ, বিস্কুট, আইসক্রিমসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। পর্যটকরা দ্বীপের ঐসব দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনে খাচ্ছেন। খাওয়ার পর ডাবের খোসা, পানীয়র বোতল ও খালি প্যাকেট যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলছেন। এতে ময়লার স্তূপ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ফোরামে উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

সেন্ট মার্টিন দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুশ শুক্কুর জানান, ময়লা সরিয়ে নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত ১০০ টাকা করে দিচ্ছি। আমার মতো দ্বীপের সব দোকানীকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দিতে হয়। অপর দোকানি দ্বীপের বাসিন্দা আবুল বশর জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১০০ টাকা করে দিয়ে আসছি।

তবে কিছু কিছু দোকানি দাবি করেন, ডাবের খোসা রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই এগুলো সরানো হয় না। কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা কলেজছাত্র ফারহান জানান, ছেঁড়াদ্বীপ অনেক সুন্দর। তবে এখানকার সাগর পাড়ে কেয়াবনের কাছে যেখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। ডাবের খালি খোসা এবং আবর্জনার কারণে পর্যটকরা কেয়াবনে ঢুকতে পারেন না। টেকনাফ উপজেলার নবনিযুক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, ছেঁড়াদ্বীপ নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ময়লা আবর্জনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top