ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে থামছেই না পাহাড় কাটা


প্রকাশিত:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৬

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: প্রশাসন বরাবর বারবার অভিযোগ সত্ত্বে থেমে নেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাহাড় কাটা। পরিবেশ আইন না মেনে একের পর এক পাহাড় কাটছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না নিয়ে ‘শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস’ নামে ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য পাহাড় কাটা শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশের যেমন, ক্ষতি হচ্ছে তেমনি কুবি ক্যাম্পাস হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড় কাটা এবার প্রথম নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের-এর আগেও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন দেখা যায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে নির্মিত শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউসের উত্তর পাশের পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। এই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নিচু জায়গা। এর ফলে যেকোনো সময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে শিক্ষাক-শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইনের ২০১০-এর ৬-এর ‘খ’ ধারায় বলা হয়েছে ‘কোনো পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইবে না, তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে পাহাড় কর্তন করা যাইবে।’ আইনে পাহাড় বা টিলা কাটার জন্য ছাড়পত্রের বিধান থাকলেও পরিবেশ অধিদফতর থেকে অনুমতি নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে একের পর এক পাহাড় কাটায় বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কুবির লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসটি প্রশাসনের অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা পাহাড়গুলোকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য উল্লেখ করে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে প্রশানের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা মাত্র জেনেছি। আমাদের দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসানের দফতরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোনকলে সাড়া দেননি।

নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ভবনের মূল অংশে মাটির প্রয়োজন হওয়ায় নীচের অংশ কাটা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, শিক্ষক ক্লাব ও গেস্ট হাউস ভবনের বেইজমেন্ট কাটছে। পাহাড় কাটার সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৌশলীকে পাঠিয়েছি। তারা জানিয়েছে ক্যাম্পাসের কোথাও পাহাড় কাটা হয়নি।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top