ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০



প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:০০

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৯

১৭২ বছর পর এক বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এই সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হবে। এ সময় সূর্যের চারপাশে থাকবে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন ‘রিং অব ফায়ার’।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। সূর্যের ৯০ শতাংশের বেশি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, যা খালি চোখেই অবলোকন করতে পারবেন পৃথিবীবাসী। ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণ। তবে এই দৃশ্যটি সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

২০১৯ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে এটি। এ বছরের ৬ জানুয়ারি ও ২ জুলাই অন্য দুটি সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সেগুলো উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়নি। 

ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকে পরিচিতি পায় সূর্যগ্রহণ। চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে কিছু সময়ের জন্য সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। তবে আমাবশ্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এ ঘটনা বেশি ঘটে। পৃথিবীতে প্রতিবছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণে রূপ নেয়।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে হঠাৎ দিনের বেলা রাতের অন্ধকার নেমে আসে এবং চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশে হঠাৎ একটা পরিবর্তন আসে। পাখিরা সন্ধ্যার আভাস পেয়ে ফিরে যেতে থাকে বনে, বাতাস স্থির হয়ে যায় এবং হঠাৎ তাপমাত্রা কমতে থাকে।

বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে সূর্যগ্রহণ বেশিবার হয়। প্রতি সাতটি গ্রহণের মধ্যে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের অনুপাত ৫:২ বা ৪:৩। তবে অধিকাংশ সূর্যগ্রহণ সমুদ্রপৃষ্ঠে বা পর্বতমালার ওপর দিয়ে গেলে নজড়ে পড়ে না।

 

উৎসঃ একুশে টেলিভিশন




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top