ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

প্যারিস চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে- সাবের হোসেন চৌধুরী


প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২১ ০৫:৪৭

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১০

 

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নতুন উপায় বের করার উপর জোর দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় যথাযথভাবে ঝুঁকি চিহ্নিত করে মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে তাদের জন্য লাভজনক ব্যবসার দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) সঙ্গে একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) যৌথভাবে আয়োজিত ‘এড্রেসিং ক্লাইমেট চেইন্জ ইন্ডিউজড লস এন্ড ডেমেজ ইন বাংলাদেশ ইন পার্টনারশীপ উইথ প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা এখন জলবায়ু প্রভাবের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিলেও কিছু সময় পরে আমরা আর মানিয়ে নিতে সক্ষম হব না। অভিযোজন কোন সমাধান নয়। আমাদের প্রশমনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। প্যারিস চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির‘ (পিপিপিএ) মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির খরচকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। আমাদের দেশে অর্থায়নের একটি বড় অংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। আমাদের বার্ষিক জিডিপির ৮১ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে যেখানে ১৯ শতাংশ আসে সরকার থেকে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ুজনিত ক্ষয়ক্ষতির অর্থায়নে বেসরকারি খাতকে সাঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলিকে সরকারের বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্পের সাঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এসব প্রকল্পে যদি আবাসিক সমš^য়কারী মিয়া সেপ্পো ক্লাইমেটর খরচ যুক্ত করা যায় তবে আমরা সহজেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে কাজ করতে পারবো। তিনি পরবর্তী প্রজন্ম ও সুন্দর আগামীর জন্য বেসরকারি খাতকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার উপর জোর দেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ক্ষয়ক্ষতি সব দেশের জন্য সমান নয়। এটি সামাজিক বা আঞ্চলিক হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন মূল্যায়নের সময় এই ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করা উচিত। বেসরকারি খাতকে দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়নের জন্য সরকারি খাতের সাঙ্গে হাত মিলানোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, সামনেই কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সম্ভাব্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এ সম্মলনকে একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে কোন ধরনের বার্তা পাঠানো উচিত তা বোঝার চেষ্টা করছি।

সেমিনারের সভাপতি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান শ্রীমতি জুডিথ হারবার্টসন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো ক্লাইমেট, ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মুনজুরুল হান্নান খান, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক ড. সালেমুল হক।

সূত্রঃ ভোরের কাগজ 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top